শিশু আইন ১৯৭৪
শিশু
আইন
১৯৭৪
ঃ
বাংলাদেশের
শিশুদের আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন হচ্ছে শিশু আইন ১৯৭৪। এই আইনটি ১৯২২ সালের দি বেঙ্গল রেজিমেন্ট এ্যাক্ট এর পরিবর্ধিত রুপ। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালের ২১ শে জুন শিশু আইন ১৯৭৪ স্বাক্ষর করেন এবং ২২ শে জুন তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এই আইনটি ঢাকায় ১৯৭৬ সালে এবং সারা দেশে ১৯৮০ সালে কার্যকরী ও বাস্তবায়িত হয়। এই আইন প্রণয়নের দুটি উদ্দেশ্যে আছেঃ ১) শিশুর তত্ত্বাবধান, নিরাপত্তা ও আচরন সংক্রান্ত প্রত্যাশিত বিধানাবলী প্রণয়ণ ও প্রবর্তন, যা কিনা কালের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ২) কিশোর অপরাধীদের বিচার ও শাস্তির সঙ্গতিপূর্ণ বিধান প্রণয়ণ ও প্রবর্তন।শিশু আইন ১৯৭৪ এ ৭৮ টি ধারা আছে, যা ১২টি ভাগে বিভক্ত। গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো হচ্ছেঃ ১৩, ১৫, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৫, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৭০, ৭১, ৭৬।
১৯৭৪ সালের শিশু আইনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য ঃ
ধারা
নং |
বিস্তারিত |
ধারা
- ৪ |
শিশুদের
অপরাধের বিচার কেবল মাত্র শিশু আদালতেই হবে। |
ধারা
- ৬ |
কোন শিশুকে প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে যৌথভাবে বিচার করা চলবে না। |
ধারা
- ১১ |
কোন মামলার বা কার্যধারার শুনানীর কোন পর্যায়ে আদালত যদি উক্ত শুনানীর উদ্দেশ্যে শিশুর হাজির থাকা অনাবশ্যক বলে মনে করেন, তবে আদালত হাজিরা মওকুফ করতে এবং তার অনুপস্থিতিতেই উক্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানী চালিয়ে যেতে পারবেন। |
ধারা
- ১৩ |
শিশুকে
গ্রেফতার
করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিশুর পিতামাতা বা অভিভাবককে শিশুর গ্রেফতারের বিষয় অবহিত করবেন। যে আদালতে শিশুটিকে হাজির করা হবে সে আদালতে হাজির হবার তারিখ পিতা মাতা বা অভিভাবকে জানিয়ে উক্ত সময় ও স্থানে হাজির থাকতে বলবেন। |
ধারা-৩৪ |
যার হেফাজত, দায়িত্ব বা তত্ত্বাবধানে কোন শিশু রয়েছে এরূপ কোন ১৬ বছরের উপর বয়স্ক ব্যক্তি যদি অনুরূপ শিশুকে এরূপ পন্থায় আক্রমন, উৎপীড়ন, অবহেলা, বর্জন অথবা অরক্ষিত হালে পরিত্যাগ করে অথবা করায় যা দ্বারা শিশুটির অহেতুক দুর্ভোগ হয় কিংবা তার স্বাস্থ্যেও ক্ষতি হয় এবং তার দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়, শরীরের কোন অঙ্গ বা ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি হয় এবং কোন মানসিক বিকৃতি ঘটে তা হলে উক্ত ব্যক্তি দুবছর পর্যন্ত মেয়াদে কারাদন্ড অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। |
ধারা-
৪৮ |
যে ক্ষেত্রে আপাত দৃষ্টিতে ১৬ বছরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তিকে জামিন অযোগ্য অপরাধের দায়ে গ্রেফতার করা হয় এবং অবিলম্বে /আদালতে হাজির করা না যায় সে ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে জামিনে খালাস দিতে পারেন। |
ধারা
- ৫১ (১) |
কোন শিশুকে মৃত্যূদন্ড,যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা যাবে না। |
ধারা
- ৫১ (২) |
কারাদন্ডে
দন্ডিত কোন কিশোর অপরাধীকে বয়স্ক আসামীর সাথে মেলামেশা করতে দেওয়া যাবে না। |
ধারা-
৫৫ |
কোন শিশু অপরাধ করেছে বা করতে পারে এরুপ মনে করলে তাকে নিরাপদ স্থানে নেয়া যাবে কিন্তু এরুপ আটক রাখা মেয়াদ ২৪ ঘন্টার বেশী হবে না। |
ধারা-
৫৭ |
শিশু কোন অপরাধ করলে অবশ্যই তাকে শিশু আদালতে প্রেরন করতে হবে। যেখানে শিশু আদালত নেই সেখানে ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রদত্ত আদালতে হাজির করতে হবে। |
কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সবুজ কাগজে দাখিল করতে হবে, ইহা বাধ্যতা মুলক কি না, সবুজ দোষীপত্রের ফরম সরকার কর্তৃক মুদ্রিত হইয়াছে কিনা জানালে উপকার হবে।
উত্তরমুছুনআমি যদি সঞ্চয়ী হিসাব খুলি তাহলে আমাকে প্রতি মাসে লাখে কত টাকা মুনাফা দেওয়া হবে।
উত্তরমুছুন