আদিবাসী বা উপজাতীয়দের জমি হস্তান্তরের বিধানাবলি:
আদিবাসী (The Aborigines) ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি
এক্ট এর ৯৭ ধারার
১ উপধারায় আদিবাসী বা উপজাতি ( The Aborigines) বলতে (১) সাঁওতাল (২) বানিয়াস
(৩) ভূঁইয়া (৪) ভূমিজ (৫) দালুস
(৬) গারো (৭) গন্ডা (৮) হাদী
(৯) হাজং (১০) হো (১১) খারওয়াত (১২) খরিয় (১৩) কোরা (১৪) কোচ (১৫) মগ
(১৬) মাল এবং সুরিয়া (১৭) পাহাড়িয়া (১৮) মাচজ (১৯) মন্ডা (২০) মুন্ডাই (২১) ওড়াং
এবং (২২) তোড়ি দেরকে উপজাতী বোঝায়।
উপরোক্ত শ্রেণীর উপজাতীয়দের জমি-জমা
হস্তান্তরের
জন্য ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৯৭ ধারায় বলা হয়েছে।
উক্ত ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে কোন আদিবাসী যদি তার
সম্পত্তি অন্য কারো নিকট হস্তান্তর করতে চায় তাহলে তাকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসরত কোন উপজাতির
কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
এই ধারার ৩ উপধারায়
বলা হয়েছে যদি কোনো উপজাতি বা আদিবাসী রায়ত তার সম্পত্তি বা সম্পত্তির
কোন অংশ বিক্রি, দান, উইল বা অন্য কোন ভাবে কোন আদিবাসী বা উপজাতি ব্যতিত অন্য কোন
গোত্রের বা শ্রেণীর কোনো মানুষের নিকট হস্তান্তর করতে চায়
তাহলে উক্ত আদিবাসী রায়তকে তার সম্পত্তি হস্তান্তরের অনুমতির জন্য রাজস্ব
অফিসারের নিকট দরখাস্ত দাখিল করতে হবে। উক্ত দরখাস্ত পাওয়ার পর রাজস্ব
অফিসার ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৯০ ধারা এবং বর্তমানে
প্রচলিত ১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ এর বিধানাবলি বিবেচনা করে যদি যথাযথ
মনে হয় তাহলে রাজস্ব অফিসার উক্ত আবেদনকারী উপজাতি বা আদিবাসী
রায়তকে তার সম্পত্তি হস্তান্তর করার অনুমতি দিবেন।
অত্র ধারার ৪ উপধারায়
বলা হয়েছে আদিবাসীদেরকে তার জমি হস্তান্তর করতে হলে রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে করতে হবে।
যদি কোনো কারণে জমি রেজিস্ট্রেশনের পূর্বেই কোনো আদিবাসীকে তার জমি হস্তান্তর করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রে দলিল মতে এবং হস্তান্তরের শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট হতে লিখিত সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
অত্র ধারার ৫ উপধারায়
বলা হয়েছে যে কোন আদিবাসী তার জমি কেবলমাত্র সম্পূর্ণ খাইখালাসি বন্ধক হিসাবে হস্তান্তর করতে পারবে। তবে যদি কোন আদিবাসী কৃষি ঋণ প্রাপ্তির জন্য কৃষি
উন্নয়ন কর্পোরেশন এর নিকট হতে অথবা কোনো সমবায় সমিতির নিকট হতে
ঋণ গ্রহন করতে চান তাহলে উপরোক্ত শর্ত প্রযোয্য
হবে না ।
অত্র ধারার ৬ উপধারায়
বলা হয়েছে যে উক্ত খাইখালাসী বন্ধক এর মেয়াদ সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বছর পর্যন্ত
হবে এবং তা রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে ।
যদি কোন আদিবাসী অত্র ধারার
কোনো বিধান লংঘন করে
সে তার জমি হস্তান্তর করে তাহলে উক্ত হস্তান্তর বাতিল বলে গণ্য
হবে।
অত্র ধারার ৮ উপধারার
(এ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যদি কোনো আদিবাসী রায়ত এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করে তার
কোনো সম্পত্তি বা সম্পত্তির কোনো অংশ হস্তান্তর করেন তাহলে রাজস্ব অফিসার নিজ উদ্যোগে
বা উক্ত বে-আইনী হস্তান্তর এর স্বপক্ষে তার বরাবরে
পেশকৃত কোনো দরখাস্তের ভিত্তিতে লিখিত আদেশের মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করে উক্ত
হস্তান্তর গ্রহিতাকে উচ্ছেদ করে দিবেন।
তবে অবশ্যই হস্তান্তর গ্রহীতাকে এইরূপ উচ্ছেদ এর জন্য
কারন দর্শানোর সুযোগ দিতে হবে।
অত্র
ধারার ৮ উপধারার
(বি) অনুচ্ছেদে আরো উল্লেখ
করা হয়েছে রাজস্ব কর্মকর্তা কোনো আদেশ দিলে অথবা
কোন আদিবাসীর জমি ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হলে রাজস্ব কর্মকর্তা উক্ত আদিবাসীকে
অথবা তার আইনগত উত্তরাধিকারীকে কিংবা তার কোনো আইনগত প্রতিনিধির নিকট ফেরত
দিবেন। যদি কোনো আদিবাসীর কোন আইনগত উত্তরাধিকারী কিংবা কোনো প্রতিনিধি না থাকেন
সেক্ষেত্রে
আদিবাসীর উক্ত জমি সরকারের নিয়ন্ত্রনে ন্যস্ত বলে গণ্য
ঘোষণা করবেন এবং রাজস্ব কর্মকর্তা উক্ত জমিটি অন্য একজন
আদিবাসীর নিকট বন্দোবস্ত দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন