সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০






জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০

( ২০১০ সনের ৩ নং আইন )

[জানুয়ারি ২৮, ২০১০]



     
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং তদ্সংশিস্নষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধানাবলী প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন


               যেহেতু জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং তদ্সংশিস্নষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধানাবলী প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
               সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :





প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক




সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।

     (২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
















সংজ্ঞা

২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) "কমিশন" অর্থ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন;

(২) "জাতীয় পরিচয়পত্র" অর্থ কমিশন কর্তৃক কোন নাগরিক বরাবরে প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র;

(৩) "জাতীয় পরিচিতি নম্বর [National Identification Number (NID)]
অর্থজাতীয় পরিচয়পত্রে কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর;

(৪) "তথ্য-উপাত্ত" অর্থ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং আইন) অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন বা হালনাগাদকরণ কালে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বা কোন নাগরিকের নিকট হইতে সংগৃহীত এক বা একাধিক তথ্য-উপাত্ত এবং উক্ত নাগরিকের বায়োমেট্রিকস ফিচারও ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;

(৫) "নাগরিক" অর্থ প্রচলিত আইনের অধীন বাংলাদেশের কোন নাগরিক;

(৬) "নির্ধারিত" অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;

(৭) "প্রবিধান" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(৮) "বায়োমেট্রিকস ফিচার (Biometrics feature)
অর্থ কোন নাগরিকের নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য, যথা ;

(ক) আঙ্গুলের ছাপ (Finger Print),

(খ) হাতের ছাপ (Hand Geometry),

(গ) তালুর ছাপ (Palm Print),

(ঘ) চক্ষুর কনীনিকা (Iris),

(ঙ) মুখাবয়ব (Facial Recognition),

(চ) ডি এন এ (Deoxyribonucleic acid),

(ছ) স্বাক্ষর (Signature), এবং

(জ) কণ্ঠস্বর (Voice);


(৯) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(১০) "ব্যক্তি" অর্থে কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তভুর্ক্ত হইবে।











দ্বিতীয় অধ্যায়
পরিচয় নিবন্ধন, ইত্যাদি




পরিচয় নিবন্ধন

৩। (১) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য একজন নাগরিককে পরিচয় নিবন্ধন করিতে হইবে।

     (২) পরিচয় নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশনের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

     (৩) এই আইনের অন্যান্য ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সাধারণভাবে কোন নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে তাহার স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরত ঠিকানায় নিবন্ধন করা হইবে এবং উক্ত ঠিকানা অনুযায়ী জাতীয় পরিচিতি নম্বর প্রদান করিতে হইবে।

     (৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন নাগরিক ইচ্ছা প্রকাশ করিলে তাহাকে যে ঠিকানায় ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হইয়াছে উক্ত স্থানেই তাহাকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করা যাইবে এবং উক্ত ঠিকানা অনুযায়ী জাতীয় পরিচিতি নম্বর প্রদান করিতে হইবে।
















জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান

৪। একজন নাগরিককে কমিশন কর্তৃক কেবল একটি জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা যাইবে।
















জাতীয় পরিচয়পত্র পাইবার অধিকার

৫। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬নং আইন) অনুযায়ী ভোটার হওয়ার যোগ্য প্রত্যেক নাগরিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে নির্ধারিত শ্রেণীর জাতীয় পরিচয়পত্র পাইবার অধিকারী হইবেন।
















জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা

৬। কমিশন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষাঙ্গিক সকল দায়িত্ব পালন করিবে।
















জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ ও পুনঃ নিবন্ধন

৭। (১) এই আইনের অধীন কোন নাগরিককে প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হইবে উহা প্রদানের তারিখ হইতে পনের বছর।

      (২) জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার অন্যূন ছয় মাস পূর্বে উহা পুনঃনিবন্ধনের জন্য প্রত্যেক নাগরিককে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে ও পদ্ধতিতে কমিশনের নিকট আবেদন করিতে হইবে।

     (৩) কমিশন উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র পুনঃ নিবন্ধন করিবে।
















জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন

৮। কোন নাগরিকের অনুকূলে যে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হইয়াছে-

     (ক) উক্ত তথ্য-উপাত্তের সংশোধনের প্রয়োজন হইলে নাগরিক কর্তৃক প্রদত্ত আবেদনের ভিত্তিতে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও ফি প্রদান সাপেক্ষে, কমিশন কর্তৃক উহা সংশোধন করা যাইবে; অথবা

     (খ) উক্ত তথ্যাদি জাতীয় পরিচয়পত্রে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ না হইলে উক্ত নাগরিক কর্তৃক প্রদত্ত আবেদনের ভিত্তিতে কমিশন কর্তৃক, কোন রকম ফি প্রদান ব্যতিরেকে, উহা সংশোধন করা যাইবে।
















নূতন জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান

৯। (১) কোন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র হারাইয়া গেলে বা অন্যভাবে নষ্ট হইয়া গেলে তিনি নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফি প্রদান সাপেক্ষে নূতন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

     (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কমিশন উক্ত নাগরিক বরাবরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে নূতন পরিচয়পত্র প্রদান করিবে।
















জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল

১০। কোন নাগরিকের নাগরিকত্ব অবসান হইলে তাহার জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রদত্ত জাতীয় পরিচিতি নম্বর অন্য কোন নাগরিকের বরাবরে প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্রে ব্যবহার করা যাইবে না।
















কতিপয় সেবা গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন

১১। (১) সরকার, সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহাতে উল্লিখিত যে কোন সেবা বা নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে, নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও উহার অনুলিপি দাখিলের ব্যবস্থা চালু করিতে পারিবে :

     তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের সমগ্র এলাকায় সাধারণভাবে নাগরিকগণের অনুকূলে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এইরূপ প্রজ্ঞাপন জারি বা ব্যবস্থা চালু করা যাইবে না।

     (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন, কিংবা ক্ষেত্রমত, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি দাখিল করিবার জন্য কোন নাগরিককে বাধ্য করা যাইবে না এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকিবার কারণে কোন নাগরিককে নাগরিক সুবিধা বা সেবা পাইবার অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাইবে না।
















কমিশনকে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা প্রদান

১২। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা উহাদের নিকট সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত, ইত্যাদি কমিশনকে প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে এবং কমিশনের দায়িত্ব পালনে কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে।
















তথ্য-উপাত্তের জন্য আবেদন

১৩। প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও শর্তে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কমিশনের নিকট সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত পাইবার জন্য আবেদন করিতে পারিবে এবং কমিশন উক্তরূপ চাহিত তথ্য-উপাত্ত, ভিন্নরূপ বিবেচিত না হইলে, সংশিস্নষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করিবে।











তৃতীয় অধ্যায়
অপরাধ ও দণ্ড




মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য দন্ড

১৪। কোন নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোন মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
















একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিবার দন্ড

১৫। কোন নাগরিক জ্ঞাতসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
















তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করিবার দন্ড

১৬। (১) কমিশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কমিশনের নিকট সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কোন তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব সাত বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

      (২) কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লিখিত কোন তথ্য বিকৃত অথবা বিনষ্ট করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব দুই বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক চল্লিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
















দায়িত্ব অবহেলার দন্ড

১৭। কমিশনের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কোন দায়িত্ব পালনরত কোন ব্যক্তি, কোন যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া, দায়িত্বে অবহেলা করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
















জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করিবার দন্ড

১৮। (১) কোন ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করিলে বা জ্ঞাতসারে উক্তরূপ পরিচয়পত্র বহন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব সাত বৎসর কারাদন্ড এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।

     (২) কোন ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করিবার কাজে সহায়তা বা উক্তরূপ পরিচয়পত্র বহনে প্ররোচনা করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব সাত বৎসর কারাদন্ড এবং অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।
















অন্য কোন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ধারণ কিংবা বহন করিবার দন্ড

১৯। কোন ব্যক্তি কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত অন্য কোন নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ধারণ বা বহন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধব এক বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
















ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ

২০। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে Cওডএ ওf Cরিমিনল্ Pরওcএডুরএ,1898 (আcট্ ণও. V ওf 1898) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
















অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা

২১। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য (cognizable), অ-আপোষযোগ্য (non-compoundable) ও জামিনযোগ্য (bailable) হইবে।











চতুর্থ অধ্যায়
বিবিধ




বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২২। কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
















প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২৩। কমিশন, সরকারী গেজেটে এবং তদতিরিক্ত ঐচ্ছিকভাবে ইলেকট্রনিক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
















ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৪। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব,সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ (Authentic English Text) করিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
















হেফাজত সংক্রান্ত বিশেষ বিধান

২৫। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ (২) এর বিধান অনুসারে মেয়াদ উত্তীর্ণের কারণে কার্যকরতা লোপ পাওয়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০০৮ (২০০৮ সনের ১৮ নং অধ্যাদেশ) এর কার্যকরতাকালে উহার অধীন বা অনুরূপ কার্যকরতা লোপ পাইবার পর উহার ধারাবাহিকতায় বা বিবেচিত ধারাবাহিকতায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা এবং কমিশন কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত নাগরিক বরাবরে প্রদত্ত ও বিতরণকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র, ইত্যাদি এই আইনের অধীন প্রদত্ত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা, সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত, প্রদত্ত ও বিতরণকৃত জাতীয় পরিচয়পত্র বলিয়া গণ্য হইবে।



















Copyright®2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs













কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন