|
|
|
অপরাধ সম্পর্কিত
বিষয়ে
পারস্পরিক
সহায়তা
আইন,
২০১২
|
|
( ২০১২ সনের ৪ নং আইন
)
|
|
|
[ফেব্রুয়ারি ২০,২০১২]
|
|
|
|
অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে
পারস্পরিক সহায়তা আইন প্রণয়নকল্পে
প্রনীত আইন
|
|
|
যেহেতু অপরাধমূলক কার্যের
মাধ্যমে অর্জিত বা সন্ত্রাসী কার্যের
সহিত সম্পৃক্ত
অথবা সন্ত্রাসী
সম্পত্তি ফ্রিজ বা আটক সম্পর্কিত
বিষয়সহ অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে অনুসন্ধান,
প্রসিকিউশন এবং বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার
জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয়
সহায়তা প্রদান বা গ্রহণের জন্য
বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন
করা হইলঃ—
|
|
|
|
|
|
অধ্যায়-১
প্রারম্ভিক
|
|
|
|
|
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
|
|
১। (১) এই
আইন অপরাধ
সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা আইন,
২০১২ নামে
অভিহিত হইবে।
(২) এই
আইন অবিলম্বে
কার্যকর হইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সংজ্ঞা
|
|
২। বিষয় বা
প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না
থাকিলে, এই আইনে,—
(১) ‘‘ অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়’’ অর্থ
বাংলাদেশ এবং সহায়তার জন্য অনুরোধকারী
রাষ্ট্রের আইনে অপরাধ সংঘটন করে
এমন বিষয়ে
অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচারিক বা অন্যান্য
কার্যধারা এবং নিম্নলিখিত বিষয়ও উহার
অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা,—
(ক) কোন
সম্পত্তি সন্ত্রাসী কার্যের মাধ্যমে অর্জিত,
সন্ত্রাসী কার্যের সহিত সম্পৃক্ত অথবা
সন্ত্রাসী সম্পত্তি (Terrorist Property) বা
মানি লন্ডারিং
সম্পর্কিত অপরাধ কিনা উহা নির্ধারণ;
(খ) ফৌজদারী
অভিযোগ গঠনের ভিত্তিতে হউক বা
না হউক,
সম্ভাব্য বাজেয়াপ্তি আদেশ;
(গ) সন্ত্রাসী
কার্যের মাধ্যমে অর্জিত বা সন্ত্রাসী
কার্যের সহিত সম্পৃক্ত অথবা সন্ত্রাসী
সম্পত্তি ফ্রিজ করা বা আটক
করা;
(২) ‘‘ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ এই
আইনের অধীন কোন বিদেশী রাষ্ট্র
হইতে যাচিত
সহায়তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক কার্যক্রম গ্রহণের নিমিত্ত অনুরুদ্ধ
সংস্থা যাহা সংশ্লিষ্ট সহায়তা প্রদানে
কর্তৃত্ববান এবং কার্যক্রম গ্রহণে সক্ষম;
(৩) ‘‘এগ্রিমেন্ট’’ অর্থ বলবৎ কোন
ট্রিটি, কনভেনশন বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক
চুক্তি যাহাতে বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হইয়াছে
এবং যাহাতে
অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা
প্রদানের বিষয়ে এক বা একাধিক
বিধান রহিয়াছে;
(৪) ‘‘কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ’’
অর্থ এই
আইনের ধারা ৩ অনুযায়ী নির্ধারিত
কর্তৃপক্ষ;
(৫) ‘‘কম্পিউটার ড্যাটা’’ অর্থ কম্পিউটার
সিস্টেমে প্রক্রিয়াকরণের উপযুক্ত
ফরমে কোন
বিষয়বস্ত্ত, তথ্য বা ধারণা উপস্থাপন
এবং কোন
কার্যসম্পাদনের জন্য কম্পিউটার
সিস্টেমের উপযুক্ত কোন প্রোগ্রামও ইহার
অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৬) ‘‘কম্পিউটার সিস্টেম ’’
অর্থ এক
বা একাধিক
পারস্পরিক সংযুক্ত ডিভাইস যাহা কোন
প্রোগ্রাম তৈরি করে অথবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে
ড্যাটা প্রক্রিয়াকরণ বা রেকর্ড করে;
(৭) ‘‘ গ্রাহক তথ্য’’ অর্থ কম্পিউটার
ড্যাটার ফরম বা অন্য কোন
ফরমে ধারণকৃত
তথ্য যাহা
সার্ভিস প্রোভাইডার কর্তৃক গ্রাহকের প্রেরণকৃত
সার্ভিসের জন্য ধারণকৃত, তবে এইরূপ
ট্রাফিক বা কন্টেন্ট ড্যাটা ইহার
অন্তর্ভুক্ত হইবে না যাহাতে নিম্নবর্ণিত
বিষয়াদি প্রতিষ্ঠিত হইতে পারে, যথা:—
(ক) ব্যবহৃত
কমিউনিকেশন সার্ভিসের ধরণ, ইহার সহিত
সম্পর্কিত কারিগরি বিষয়াদি এবং সেবা
প্রদানের সময়;
(খ) গ্রাহকের
পরিচিতি, পত্রযোগাযোগ বা অন্য কোন
যোগাযোগের ঠিকানা, টেলিফোন এবং অন্যান্য
একসেস নাম্বার; বিল পরিশোধের তথ্যসহ
কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট স্থাপনের স্থান সম্পর্কিত
অন্যান্য তথ্য যাহা সার্ভিসের মাধ্যমে
বা সার্ভিস
হইতে প্রকাশ
করা হয়;
(৮) ‘‘ট্রাফিক ড্যাটা ’’ অর্থ কম্পিউটার
সিস্টেমের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পর্কিত যে
কোন কম্পিউটার
ড্যাটা যাহা কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে
উৎপাদিত এবং যোগাযোগের উৎস, গন্তব্য,
রুট, সময়,
তারিখ, আকার, মেয়াদ বা ধরণ
সংক্রান্ত যোগাযোগের চেইনের কোন অংশ
গঠন করে;
(৯) ‘‘ফ্রিজিং বা আটক’’ অর্থ
সাময়িকভাবে কোন সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর,
বিন্যাস বা স্থানান্তর নিষিদ্ধ করা
অথবা সাময়িকভাবে
হেফাজতে গ্রহণ করা অথবা আদালত
বা অন্য
কোন উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষের আদেশের ভিত্তিতে উক্ত সম্পদের
নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং নিরোধমূলক আদেশও
ইহার অন্তর্ভুক্ত
হইবে;
(১০) ‘‘ ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898
(Act V of 1898);
(১১) ‘‘সহায়তা’’ অর্থ অনুসন্ধান, প্রসিকিউশন,
বাজেয়াপ্তকরণ এবং অপরাধ
সম্পর্কিত বিচারিক ও অন্যান্য কার্যধারা;
(১২) ‘‘ সন্ত্রাসী সম্পদ’’ অর্থ কোন
সম্পদ যাহা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী কার্যে
ব্যবহৃত হইয়াছে বা ব্যবহারের মাধ্যমে
প্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ বা কোন
বিদেশী রাষ্ট্র কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসাবে
চিহ্নিত কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা
সত্ত্বার সম্পদ;
(১৩) ‘‘সার্ভিস প্রোভাইডার
’’ অর্থ —
(ক) কোন
সরকারি বা বেসরকারি ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান যিনি বা যাহা কম্পিউটার
সিস্টেমের মাধ্যমে কোন ব্যবহারকারীকে যোগাযোগের সামর্থ্য সরবরাহ করে;
এবং
(খ) অন্য
কোন ব্যক্তি,
সত্ত্বা বা সংস্থা যিনি বা
যাহা উক্ত
সার্ভিসের বা উক্ত সার্ভিসের ব্যবহারকারীর
পক্ষে কম্পিউটার ড্যাটা প্রক্রিয়াকরণ বা সংরক্ষণ করেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অধ্যায় -২
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
|
|
|
|
|
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
|
|
৩। (১) এই
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি
গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
নির্ধারণ করিবে।
(২) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ উহার সকল বা যে
কোন দায়িত্ব
যে কোন
সরকারি কর্মকর্তার অনুকূলে অর্পণ করিতে
পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
|
|
৪।কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও দায়িত্ব হইবে
নিম্নরূপ, যথা:—
(ক) কোন
বিদেশী রাষ্ট্র কর্তৃক যাচিত সহায়তার
অনুরোধ গ্রহণ করা এবং উহা
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট কার্যব্যবস্থার জন্য প্রেরণ করা;
(খ) কোন
বিদেশী রাষ্ট্র হইতে সহায়তা প্রাপ্তির
জন্য বাংলাদেশের
অনুরোধ গ্রহণ করা এবং উহার
প্রেক্ষিতে বিদেশী রাষ্ট্রকে সহায়তা প্রদানের
জন্য অনুরোধ
করা;
(গ) সহায়তা
প্রদান বা গ্রহণ করা হইবে
কিনা, সেই সম্পর্কিত বিষয় বিবেচনা
ও নির্ধারণ
করা;
(ঘ) সহায়তা
প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কার্যতৎপরতা অনুসরণ এবং উহা
দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে অনুরোধকারী রাষ্ট্রের
কার্যব্যবস্থার পরিসমাপ্তিতে সহায়তা প্রদান করা;
(ঙ) এই
আইনের অধীন কোন বিদেশী রাষ্ট্রকে
সহায়তা প্রদান করিবার ক্ষেত্রে বা
কোন বিদেশী
রাষ্ট্র হইতে সহায়তা গ্রহণ করিবার
ক্ষেত্রে সমন্বয়কারীর কর্তৃত্ব
ও ক্ষমতা
প্রয়োগ;
(চ) এই
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সহায়তার অনুরোধে
সাড়া প্রদানের
নিমিত্ত শর্তাদি নির্ধারণ ও পদ্ধতিগত
বিধান প্রণয়ন করা; এবং
(ছ) এই
আইনের অধীন যাচিত সহায়তা কার্যকরকরণের
জন্য প্রয়োজনীয়
পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উপদেষ্টা বোর্ড
|
|
৫। কোন বিদেশী
রাষ্ট্র হইতে সহায়তা গ্রহণ বা
কোন বিদেশী
রাষ্ট্রকে সহায়তা প্রদানের বিষয়টিতে সার্বভৌমত্ব
ও জাতীয়
নিরাপত্তা, গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ,
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা সামরিক অপরাধ
জাতীয় প্রশ্ন জড়িত থাকিবার সম্ভাবনার
ক্ষেত্রে মতামত প্রদানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষকে সাহায্যের জন্য একটি উপদেষ্টা
বোর্ড থাকিবে এবং উক্ত উপদেষ্টা
বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত
হইবে, যথা:—
(ক) অ্যাটর্নি-জেনারেল কর্তৃক
মনোনীত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি-জেনারেল পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন এমন একজন প্রতিনিধি,
যিনি উপদেষ্টা
বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন ;
(খ) স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
যিনি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন;
(গ) প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
যিনি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন;
(ঘ) পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
যিনি মহাপরিচালক
পদমর্যাদার নিম্নে নহেন;
(ঙ) লেজিসলেটিভ
ও সংসদ
বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন
প্রতিনিধি যিনি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন;
(চ) অর্থ
বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি
যিনি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন;
(ছ) ব্যাংক
ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন
প্রতিনিধি যিনি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন;
(জ) সলিসিটর,
আইন, বিচার
ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয় ;
(ঝ) সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন
প্রতিনিধি যিনি যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার
নিম্নে নহেন;
(ঞ) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত একজন সদস্য
যিনি উপদেষ্টা
বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন
করিবেন; এবং
(ট) সরকার
কর্তৃক মনোনীত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ
০১ (এক)
জন প্রতিনিধি।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উপদেষ্টা বোর্ডের কার্যপদ্ধতি
|
|
৬। (১) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুরোধ করা হইলে
উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যানের
সম্মতিক্রমে তৎকর্তৃক নির্ধারিত স্থান, সময়
ও তারিখে
সদস্য-সচিব কর্তৃক উপদেষ্টা বোর্ডের
সভা আহবান
করা হইবে।
(২) উপদেষ্টা
বোর্ডকে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ সাচিবিক সহায়তা
প্রদান করিবে।
(৩) এই
ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপদেষ্টা
বোর্ড উহার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে
পারিবে।
(৪) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারণ করিয়া দেওয়া
না হইলে,
উপদেষ্টা বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে
বোর্ডের মেয়াদকাল নির্ধারণ করিবেন।
(৫) উপদেষ্টা
বোর্ডের প্রথম সভা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক আহবান করা যাইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সিদ্ধান্তের চূড়ান্ততা
|
|
৭। এই আইনের
অধীন সহায়তা
গ্রহণ বা প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য
হইবে:
তবে শর্ত
থাকে যে,
উপদেষ্টা বোর্ডের মতামতের সহিত কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ একমত পোষণ না করিলে
বিষয়টি আইন, বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত
মন্ত্রীর সমীপে উত্থাপিত হইবে এবং
তৎকর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া
গণ্য হইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অধ্যায়-৩
সহায়তা প্রদান এবং সহায়তার জন্য অনুরোধ
অংশ-১
সাধারণ বিধানাবলী
|
|
|
|
|
সহায়তার পরিধি
|
|
৮। (১) কোন
বিদেশী রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের অপরাধ
সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তার এগ্রিমেন্ট
থাকুক বা না থাকুক, অপরাধ
সংঘটনের বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচারিক
বা অন্যান্য
কার্যধারার বিষয়ে কোন বিদেশী রাষ্ট্র
কর্তৃক সহায়তা যাচনা করা হইলে
এবং উক্ত
অপরাধ ঐ দেশের আইনে শাস্তিযোগ্য
হইলে উক্ত
বিষয়ে সর্বোত্তম পারষ্পরিক সহযোগিতা প্রদান
করিতে হইবেঃ
তবে শর্ত
থাকে যে,
উক্ত অনুরোধকারী
রাষ্ট্রের নিকট বাংলাদেশ কর্তৃক অনুরূপ
সহায়তা যাচনা করা হইলে, একইরূপে
পারস্পরিক (reciprocal) সহায়তা প্রদান
করিবে মর্মে অনুরোধপত্রে প্রত্যয়ন করিতে
হইবে।
(২) উপ-ধারা (১)
এ যাহা
কিছুই থাকুক না কেন, অনুরোধকারী
রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অপরাধ
সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তার এগ্রিমেন্ট
না থাকিলে
বা এগ্রিমেন্টে
ভিন্নতর বিধান না থাকিলে, যে
আইনের অধীন অপরাধ বিষয়ে সহায়তা
যাচনা করা হইতেছে তাহা বাংলাদেশের
প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হইতে হইবে।
(৩) এই
আইনে পারস্পরিক
সহায়তার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত
বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথাঃ—
(ক) কোন
ব্যক্তির সন্ধান করা বা সনাক্ত
করা;
(খ) কোন
ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ বা বক্তব্য
গ্রহণ করা;
(গ) বিদেশী
আদালতের প্রসেস জারী করা;
(ঘ) সংশ্লিষ্ট
বিষয়ে মূল বা সার্টিফাইড ডকুমেন্ট,
রেকর্ড এবং তথ্য সরবরাহ করা
যাহার মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক, কর্পোরেট
বা ব্যবসায়িক
রেকর্ডও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ঙ) তদন্তে
সহযোগিতা বা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য
আটককৃত বা অন্য কোন ব্যক্তিকে
সহজে পাওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করা;
(চ) অনুসন্ধান
এবং বাজেয়াপ্তিকরণ
বা গ্রেফতার;
এবং
(ছ) এই
আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য যে
কোন ধরনের
সহযোগিতা যা পারস্পরিক সম্মতির মাধ্যমে
রাষ্ট্রসমূহ প্রদান করিতে সম্মত হয়।
(৪) এই
আইনে পারস্পরিক
সহায়তার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত
বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথাঃ—
(ক) বহিঃসমর্পনের
(extradition) উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে
আটক বা
আটকবস্থায় রাখা;
(খ) শাস্তি
প্রদানের জন্য জেল হেফাজতে (custody) থাকা কোন ব্যক্তিকে হস্তান্তর
করা;
(গ) বাংলাদেশের
আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে হস্তান্তর; এবং
(ঘ) মিলিটারী
আইনের অধীন কৃত অপরাধ, যাহা
সাধারণ ফৌজদারী আইনে কৃত অপরাধ
নয়।
(৫) আন্তর্জাতিক
ট্রাইব্যুনাল হইতে সহায়তার
জন্য অনুরোধের
ক্ষেত্রেও এই আইনের বিধানাবলী প্রয়োগ
করা যাইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সহায়তার অনুরোধ প্রেরণ ও গ্রহণ
|
|
৯। (১) বাংলাদেশের
সহিত যেই
সকল দেশের
সহায়তা বিষয়ে এগ্রিমেন্ট রহিয়াছে, সেই
সকল দেশ
সহায়তার জন্য সরকারের কার্যপ্রণালী বিধি (Rules of Business) অনুসরণক্রমে
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিতে পারিবে।
(২) যেই
সকল দেশের
সহিত বাংলাদেশের
সহায়তা বিষয়ে কোন এগ্রিমেন্ট নাই,
সেই সকল
দেশ কূটনৈতিক
চ্যানেলের মাধ্যমে উহার অনুরোধ কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবে।
(৩) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ফরম, বিধান
বা পদ্ধতি
অনুসরণ করিয়া যে কোন সহায়তার
অনুরোধ পেশ করিতে হইবে।
(৪) কোন
বিদেশী রাষ্ট্র হইতে সহায়তার অনুরোধ
প্রাপ্ত হইলে, কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ বিচার-বিবেচনা করিয়া
দেখিবে যে, অনুরোধটি যথাযথ পদ্ধতি
অনুসরণ করিয়া এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি
সন্নিবেশ করিয়া প্রেরণ করা হইয়াছে
কিনা অর্থাৎ
সহায়তার অনুরোধটি সহায়তা প্রদানের জন্য
উপযুক্ত কিনা এবং উপযুক্ত বিবেচিত
হইলে পরবর্তী
কার্যক্রম গ্রহণের জন্য উহা উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সহায়তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান বা
স্থগিত রাখা
|
|
১০। (১) সহায়তার
অনুরোধটি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত
না হইলে,
উহা অগ্রাহ্য
করা যাইবে
এবং অগ্রাহ্য
করিবার কারণ বিবৃত করিয়া উহা
অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে অবহিত করিতে হইবে।
(২) যদি
নির্দিষ্ট কোন শর্ত পূরণের মাধ্যমে
অনুরোধ কার্যকর করা যায়, তবে
অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে উক্ত শর্ত পূরণের
জন্য অনুরোধ
করা যাইবে
এবং শর্ত
পূরণ না
হওয়া পর্যন্ত
কার্যকরকরণ স্থগিত রাখা যাইবে।
(৩) যদি
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতীয়মান হয়
যে, কোন
নির্দিষ্ট অনুরোধ কার্যকর করিলে উহা
বাংলাদেশে বিবেচনাধীন কোন অনুসন্ধান, তদন্ত,
প্রসিকিউশন বা ফৌজদারী কার্যধারায় বিরুপ
প্রভাব ফেলিতে পারে, সেইক্ষেত্রে সহায়তার অনুরোধ স্থগিত রাখিতে
বা শর্তযুক্ত
করিতে পারিবে এবং উহা অনুরোধকারী
রাষ্ট্রকে জানাইতে হইবে।
(৪) সহায়তার
অনুরোধটি প্রত্যাখান করা যাইবে, যদি
সহায়তার বিষয়বস্তু এমন প্রকৃতির হয়
যে, উক্ত
বিষয়ে বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে বিচার
কার্য সম্পন্ন হইয়াছে ।
(৫) সহায়তার
অনুরোধ কার্যকরকরণে বাংলাদেশের
সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা,
গুরুত্বপূর্ণ জনস্বার্থ ও
জনশৃঙ্খলা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা অন্য
কোন স্বার্থ
বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকিলে অনুরোধটি
প্রত্যাখান করা যাইবে।
(৬) সহায়তার
অনুরোধ কার্যকরকরণের বিষয়বস্তু
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী হইলে
উহা প্রত্যাখান
করা যাইবে।
(৭) জব্দ,
ফ্রিজিং বা আটক, বাজেয়াপ্ত ইত্যাদি
কার্যকরকরণের ক্ষেত্রে উহা
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে জব্দ, ফ্রিজিং
বা আটক
বা বাজেয়াপ্তযোগ্য
না হইলে
অনুরোধটি প্রত্যাখান করা যাইবে।
(৮) সহায়তার
অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা যাইবে, যদি
এইরুপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, সহায়তার
অনুরোধটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ধর্ম, বর্ণ,
লিঙ্গ, জাতীয়তা বা রাজনৈতিক বিবেচনায়
করা হইয়াছে
অথবা সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করিবার
অভিপ্রায়ে করা হইয়াছে।
(৯) কোন
সামরিক অপরাধের ক্ষেত্রে সহায়তার অনুরোধ
প্রত্যাখ্যান করা যাইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অনুরোধ কার্যকরকরণ
|
|
১১। (১) এই
আইনের অধীন সরকার, সরকারি গেজেট
প্রজ্ঞাপন দ্বারা ক্ষেত্রমত, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ
নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং অনুরূপ
কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ সহায়তার অনুরোধ কার্যকরকরণের
জন্য উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২) কোন
ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধকরণ, দলিলাদি, বস্তু
ও আদালতের
বাহিরে সংগৃহীত সাক্ষ্য, দলিল বা
পরওয়ানা জারী, তল্লাশী, দলিলাদি বা
বস্তু আটক এবং কোন ব্যক্তিকে
সনাক্তকরণের জন্য অনুরোধ মহা-পুলিশ
পরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করা যাইবে
এবং তিনি
এই ক্ষেত্রে
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত হইবেন ।
(৩) আদালত
কর্তৃক কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ
এবং বাজেয়াপ্ত
বা জব্দ
করিবার জন্য প্রাপ্ত অনুরোধ সংশ্লিষ্ট
পাবলিক প্রসিকিউটর বরাবর প্রেরণ করিতে
হইবে এবং
তিনি এইক্ষেত্রে
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত হইবেন।
(৪) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে সহায়তার অনুরোধ
প্রাপ্ত হইলে সংশ্লিষ্ট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ
উক্ত অনুরোধ
দ্রুততার সহিত কার্যকর করিবে এবং
কার্যকরকরণ সংক্রান্ত সকল দলিল ও
উপকরণসহ একটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের
নিকট প্রেরণ
করিবে।
(৫) কোন
সহায়তার অনুরোধ কার্যকরকরণ অসম্ভব প্রকৃতির
হইলে, বিলম্ব না করিয়া উহা
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে জানাইতে হইবে।
(৬) উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষ কোন অনুরোধ কার্যকর করিয়া
উহার ফলাফল
বিষয়ে রিপোর্ট প্রদান করিলে, কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ উহার সংশ্লিষ্ট সকল দলিল
ও উপকরণসহ
অনুরোধকারী রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অন্য আইনে সহায়তা প্রদান
|
|
১২। কোন বিদেশী
রাষ্ট্র হইতে এই অধ্যায়ে সুনির্দিষ্টভাবে
উল্লিখিত হয় নাই, কিন্তু বাংলাদেশে
অপরাধ বিষয়ে বিদ্যমান আইনে তৎসংশ্লিষ্ট
বিধান রহিয়াছে এইরূপ কোন সহায়তার
জন্য অনুরোধ
প্রাপ্ত হইলে, অনুরোধকৃত বিষয়ে বাংলাদেশের
বিদ্যমান আইন অনুসারে সহায়তা প্রদান
করা যাইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
গোপনীয়তা প্রকাশ না করা
|
|
১৩। আইন দ্বারা
ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইলে,
কোন ব্যক্তি
তাহার পদাধিকারবলে বা দাপ্তরিক দায়িত্ব
পালনের কারণে অনুরোধের বিষয়বস্তু যদি
গোপনীয় প্রকৃতির হয়, তাহা হইলে
উক্তরুপ অনুরোধ মঞ্জুর বা প্রত্যাখানের
ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাহারো নিকট
উহা প্রকাশ
করিতে পারিবেন না।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অংশ-২
সহায়তার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি সংক্রান্ত
|
|
|
|
|
অনুসন্ধানের জন্য বিবৃতি ও সাক্ষ্য উপস্থাপন
|
|
১৪। (১) কোন
বিদেশী রাষ্ট্র কর্তৃক অনুসন্ধানের নিমিত্ত বাংলাদেশে কোন ব্যক্তির
বিবৃতি লিপিবদ্ধ বা সাক্ষ্য গ্রহণ
করিবার জন্য অনুরোধ করা হইলে,
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একজন
তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করিয়া উহা
কার্যকরকরণের জন্য নির্দেশনা
প্রদান করিবে।
(২) উপ-ধারা (১)
অনুযায়ী নির্দেশিত তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী
কার্যবিধির বিধান অনুসরণে উক্ত ব্যক্তির
বিবৃতি লিপিবদ্ধ বা সাক্ষ্য গ্রহণে
ক্ষমতাবান হইবেন এবং প্রয়োজনে এতদুদ্দেশ্যে
দলিল বা
বস্তু তল্লাশী ও জব্দ করিতে
পারিবেন।
(৩) তদন্তকারী
কর্মকর্তা তাহার কার্য সমাপ্ত করিয়া
একটি রিপোর্টসহ
উহা উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিবেন।
(৪) যদি
অনুরোধকারী রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের কোন
এগ্রিমেন্ট না থাকিয়া থাকে বা
উহাতে দলিলপত্র প্রত্যয়নের বিধান না
থাকিয়া থাকে, এবং কোন দলিলাদি
প্রত্যয়ন করিবার প্রয়োজন হইলে, উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষ বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রত্যয়ন
করিবার জন্য দলিলের হেফাজতকারীকে নির্দেশ দিতে পারিবে অথবা
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি
বা বিধান
অনুযায়ী কার্য করিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাংলাদেশের আদালত কর্তৃক সাক্ষ্য
(testimony) গ্রহণ
|
|
১৫। (১) অন্য
কোন আইনে
যাহা কিছুই
থাকুক না কেন, যেই ক্ষেত্রে
ধারা ১৪
এর অধীন
একজন সাক্ষী
বা ক্ষেত্রমত,
বিশেষজ্ঞ বা বিবাদীর নিকট হইতে
সাক্ষ্য বা বিবৃতি চাওয়া হয়,
সেই ক্ষেত্রে
আদালত বা বাংলাদেশের কোন উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষ—
(ক) তদন্ত,
অভিযোগ গঠন বা বিচার কার্যক্রম
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা উহার বৈধ
প্রতিনিধিকে; বা
(খ) বিদেশী
রাষ্ট্রের বৈধ প্রতিনিধিকে;
বিচারিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং সাক্ষীকে
প্রশ্ন করিবার অনুমতি প্রদান করিতে
পারিবে।
(২) কোন
বিদেশী রাষ্ট্রের সহায়তার অনুরোধ কার্যকরকরণের
জন্য বাংলাদেশের
আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ উহা কার্যকরকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের
নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট পাবলিক প্রসিকিউটরকে নির্দেশনা প্রদান করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২)
অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত পাবলিক
প্রসিকিউটর সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করিলে
আদালত উহা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী
সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩)
অনুযায়ী গৃহীত সাক্ষ্য কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের
নিকট সরাসরি
প্রেরণের লক্ষ্যে উহার কপি পাবলিক
প্রসিকিউটরকে প্রদান করিতে
হইবে।
(৫) পাবলিক
প্রসিকিউটর তৎকর্তৃক প্রাপ্ত কপি বিলম্ব
না করিয়া
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাক্ষ্য বা বিবৃতি
গ্রহণ সম্পর্কিত বিশেষ বিধানাবলী
|
|
১৬। (১) যেইক্ষেত্রে
ধারা ১৫
এর অধীন
কোন সাক্ষীর
সাক্ষ্য বা বিবৃতি চাওয়া হয়,
সেইক্ষেত্রে আদালত যে ব্যক্তির কারণে
তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম গৃহীত
হইয়াছে উক্ত ব্যক্তি অথবা তাহার
আইনানুগ প্রতিনিধিকে বা বিদেশী রাষ্ট্রের
আইনানুগ প্রতিনিধিকে উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য
গ্রহণ বা বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবার
সময় প্রশ্ন
করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বাংলাদেশের
কোন বিচারিক
কার্যক্রমে কোন সাক্ষীকে যেই পরিমাণ
ব্যয় নির্বাহ
করিতে হইত, ধারা ১৫ এর
অধীন জারিকৃত
আদেশে উল্লিখিত ব্যক্তি সেই একই
পরিমাণ ব্যয়িত অর্থ পাইবার অধিকারী
হইবেন।
(৩) সাক্ষ্য
প্রদানের জন্য আদিষ্ট ব্যক্তি কোন
প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতে নিম্নবর্ণিত
কারণে অস্বীকার করিতে পারিবে, বা
অন্য কোন
সাক্ষ্য-উপকরণ উপস্থাপন করিতে পারিবে,
যথা:—
(ক) বর্তমানে
বাংলাদেশে বলবৎ রহিয়াছে এইরূপ কোন
আইনের ভিত্তিতে, যদি না এই
আইনে ভিন্নরূপ
কোন বিধান
থাকে;
(খ) অনুরোধকারী
রাষ্ট্রে বলবৎ রহিয়াছে এইরূপ কোন
আইন দ্বারা
স্বীকৃত কোন প্রাধিকার; এবং
(গ) নির্দিষ্ট
কোন প্রশ্নের
উত্তর প্রদান অথবা কোন সাক্ষ্য
বা দলিলাদি
উপস্থাপন করা হইলে, উহা একটি
অপরাধ হইবে এমন বিধান অনুরোধকারী
রাষ্ট্রে বিদ্যমান কোন আইনে থাকিলে।
(৪) যদি
উপ-ধারা
(৩) (গ)
অনুসারে কোন ব্যক্তির উত্তর-প্রদান
অনুরোধকারী রাষ্ট্রে আইনের লংঘন হয়
অথবা উপ-ধারা (৩)
(খ) অনুসারে
অনুরোধকারী রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত প্রাধিকার
ক্ষুণ্ণ করে, তাহা হইলে আদালত
বা অন্য
কোন উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাময়িকভাবে
উত্তর-প্রদান অস্বীকারের বিষয়টি গ্রহণ
করিতে পারিবে এবং এতদ্সম্পর্কিত
একটি নোট
রাখিয়া পরীক্ষাকার্য অব্যাহত
রাখিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (৩)
অনুযায়ী কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদানের
ক্ষেত্রে কাহারও আপত্তি অনুরোধকারী রাষ্ট্রের
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ভিত্তিহীন বিবেচনা করিয়া
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে
কার্যক্রম পুনরায় শুরু করিবার জন্য
অনুরোধ করিলে, সংশ্লিষ্ট সাক্ষীকে উক্ত
প্রশ্নের উত্তর প্রদানে বাধ্য করা
যাইতে পারে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কোন ব্যক্তি, সত্ত্বা (entity) বা
বস্তু সনাক্তকরণ
|
|
১৭। কোন বিদেশী
রাষ্ট্র যদি এই মর্মে বিশ্বাস
করে যে,
কোন ব্যক্তি,
সত্ত্বা বা বস্তু বাংলাদেশে রহিয়াছে
এবং অনুরোধকারী
রাষ্ট্রে অনুসন্ধান, প্রসিকিউশন
বা অন্য
কোন ফৌজদারী
কার্যধারার জন্য উহা নির্ধারণ করা
প্রয়োজন, সেইক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত
ব্যক্তি, সত্ত্বা বা বস্তু সনাক্তকরণে
অগ্রসর হইবে এবং ফলাফল কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ভিডিও কনফারেন্সিং প্রযুক্তির ব্যবহার
|
|
১৮। (১) আদালত
বা কোন
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এই মর্মে আদেশ
প্রদান করিতে পারিবে যে, সাক্ষ্য
বা বিবৃতি,
কোন ব্যক্তি
বা বস্ত্ত
সনাক্তকরণ বা অন্য যে কোন
সহায়তা ভিডিও বা অডিও ট্রান্সমিশন
প্রযুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ করা যাইবে।
(২) উপ-ধারা (১)
এর অধীন
জারিকৃত আদেশ দ্বারা উক্ত ব্যক্তি
বা সত্ত্বার
প্রধানকে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে নির্দেশ প্রদান
করা যাইবে,
যথা:—
(ক) আদালত
বা কোন
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত সময়
এবং স্থানে
বিবৃতি, সাক্ষ্য বা ভিডিও কনফারেন্সের
মাধ্যমে বা অন্য কোনভাবে সহায়তা
প্রদানের জন্য হাজির হওয়া এবং
অব্যাহতি প্রদান না করা পর্যন্ত
উপস্থিত থাকা;
(খ) সংশ্লিষ্ট
বিদেশী রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন অনুসারে
উক্ত রাষ্ট্রের
কর্তৃপক্ষ বা উক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির যে-কোন প্রশ্নের
উত্তর প্রদান।
(৩) এই
ধারার অধীন ভিডিও কনফারেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাক্ষ্য
প্রদানের পদ্ধতি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ
করিতে পারিবে।
(৪) ধারা
৩৫ এ
যাহা কিছুই
থাকুক না কেন, বাংলাদেশে ভিডিও
বা টেলিফোন
সংযোগ স্থাপনের ব্যয় অনুরোধকারী রাষ্ট্র
বহন করিবে,
যদি না
এগ্রিমেন্টে ভিন্নরূপ বিধান থাকে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তল্লাশি এবং আটক
|
|
১৯। (১) যেইক্ষেত্রে
বাংলাদেশে কোন তল্লাশি এবং আটক
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন বিদেশী
রাষ্ট্র অনুরোধ করে, সেইক্ষেত্রে আদালত যদি এই মর্মে
সন্তুষ্ট হয় যে, তদন্ত, অভিযোগ
বা বিচারিক
কার্যক্রমের প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য পাইবার যুক্তিসঙ্গত
কারণ বিদ্যমান
রহিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত
ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণে তল্লাশি পরোয়ানা
জারি করিতে
পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১)
অনুসারে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করিবার
ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আদালত উহা কার্যকরকরণের
শর্তাবলী আরোপ করিতে পারিবে এবং
তল্লাশিতে বিদেশী রাষ্ট্রের কর্মকর্তাগণের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণের অনুমতি
প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) তল্লাশি
এবং আটককারী
তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রম বিষয়ে একটি
প্রত্যয়নপত্র জারী প্রতিবেদনের
সহিত সংযুক্ত
করিবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাংলাদেশে আটক রহিয়াছে
এমন ব্যক্তিকে হস্তান্তর
|
|
২০। (১) বাংলাদেশে
আটকাবস্থায় রহিয়াছে এমন ব্যক্তিকে, কোন
বিদেশী রাষ্ট্র কর্তৃক সেই দেশে
সাক্ষী হিসাবে পরীক্ষার নিমিত্ত হস্তান্তরের
জন্য অনুরোধ
করা হইলে,
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের নিকট উক্তরূপ হস্তান্তর
প্রয়োজনীয় বলিয়া প্রতীয়মান হইলে এবং
উক্ত ব্যক্তি
উহাতে সম্মত থাকিলে, কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
বিধি দ্বারা
নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে প্রয়োজনীয়
দিকনির্দেশনা প্রদান করিতে
পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১)
অনুযায়ী হস্তান্তরকৃত ব্যক্তি
বিদেশী রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকার মেয়াদকাল
বাংলাদেশে আটকাবস্থায় থাকেন বলিয়া গণ্য
হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১)
অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে বিদেশী রাষ্ট্রের
নিকট হস্তান্তরের
ক্ষেত্রে নিম্নরূপ শর্ত প্রযোজ্য হইবে,
যথাঃ—
(ক) উক্ত
ব্যক্তিকে আটক, তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ
গঠন বা
শাস্তি প্রদান অথবা তাহার ব্যক্তি
স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করা যাইবে না
অথবা উক্ত
ব্যক্তির বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে সংঘটিত
কোন কার্য
বা ত্রুটির
জন্য তাহার
বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী কার্যক্রম গ্রহণ
করা যাইবে
না;
(খ) উক্ত
ব্যক্তিকে তাহার এবং বাংলাদেশের সম্মতি
ব্যতীত, অনুরোধের সহিত সংশ্লিষ্ট কোন
তদন্ত বা বিচারিক কার্যক্রমে সহায়তা
প্রদান ব্যতীত অন্য কোন সহায়তার
জন্য বাধ্য
করা যাইবে
না;
(গ) বাংলাদেশের
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত বা
প্রবর্তিত ব্যবস্থা অনুসারে উক্ত ব্যক্তিকে
বাংলাদেশে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ট্রানজিটকালীন
কোন ব্যক্তির হেফাজত
|
|
২১। (১) যেইক্ষেত্রে
সনাক্তকরণ, সাক্ষ্য প্রদান বা অন্য
কোনভাবে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে হেফাজতে
থাকা কোন
ব্যক্তিকে বাংলাদেশের মাধ্যমে কোন বিদেশী
রাষ্ট্র (হস্তান্তরকারী রাষ্ট্র)
হইতে অন্য
কোন বিদেশী
রাষ্ট্রে (গ্রহণকারী রাষ্ট্র) স্থানান্তর করা
হয়, সেইক্ষেত্রে
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তিকে
বাংলাদেশের মাধ্যমে স্থানান্তরের
জন্য হস্তান্তরকারী
রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তাহার ট্রানজিটকালীন
হেফাজতের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যেইক্ষেত্রে
বাংলাদেশে, সিডিউল ব্যতীত, কোন অনির্ধারিত
(unscheduled) ট্রানজিট সংঘটিত হয়,
সেইক্ষেত্রে এসকর্টিং অফিসারের অনুরোধে বাংলাদেশের
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয়
সময়কাল হেফাজতে রাখিতে পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অংশ-৩
ফ্রিজিং ও আটক
এবং বাজেয়াপ্তকরণের অনুরোধ
|
|
|
|
|
ফ্রিজিং বা আটকের
আদেশ
|
|
২২। যেইক্ষেত্রে অপরাধমূলক কার্যের মাধ্যমে অর্জিত
সম্পদ বা অপরাধ কার্যে ব্যবহৃত
উপকরণ বা সন্ত্রাসী কার্যের মাধ্যমে
অর্জিত সম্পদ ফ্রিজ বা আটক
করিবার জন্য বিদেশী রাষ্ট্র কর্তৃক
অনুরোধ করা হয়, সেইক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ,
যদি এই
মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, বাংলাদেশের
আইনের অধীন এইরূপ আদেশ প্রদানের
পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে
ফ্রিজ বা আটক আদেশ প্রদানের
জন্য আদালতে
আবেদন করিতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিদেশী আদালতের রায় বলবৎকরণ
|
|
২৩ ।(১)
কোন বিদেশী
আদালত কর্তৃক বাজেয়াপ্ত আদেশ প্রদান
করা হইলে
এবং উহা
চূড়ান্ত প্রকৃতির হইলে এবং বাংলাদেশের
আইনেও উহা বাজেয়াপ্তযোগ্য হইলে, বিদেশী
আদালতের রায় বলবৎকরণের জন্য কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ উপদেষ্টা বোর্ডের সহিত আলোচনাক্রমে
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সেই মর্মে প্রয়োজনীয়
নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) যদি
বিদেশী আদালত বিচারপূর্ব জব্দের (Attachment before judgment) আদেশ প্রদান
করিয়া থাকে বা বাজেয়াপ্তির আদেশটি চূড়ান্তকরণের পর্যায়ে বা
আপীল নিস্পত্তির
পর্যায়ে থাকে, সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনে
উহা জব্দযোগ্য
বা বাজেয়াপ্তযোগ্য
হইলে, আদালতে বিচারপূর্ব জব্দের জন্য
আবেদন করা যাইবে।
(৩) আদালত
বা কোন
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত
ক্ষেত্রে ফ্রিজিং বা আটক বা
বাজেয়াপ্তির আদেশ অগ্রাহ্য করিতে পারিবে,
যথাঃ—
(ক) যদি
আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়
যে, বিদেশী
ফ্রিজিং বা আটক আদেশ উহার
কার্যকরতা হারাইয়াছে; অথবা
(খ) যদি
আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়
যে, বিদেশী
বাজেয়াপ্তি আদেশ পালিত হইয়াছে বা
উহার কার্যকরতা
হারাইয়াছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তৃতীয় পক্ষের অধিকার
|
|
২৪। (১) ফ্রিজিং
বা আটক
বা বাজেয়াপ্তির
আদেশ কার্যকরকরণের
পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে
স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল তৃতীয় ব্যক্তির
বা সত্ত্বার
প্রধানের নিকট উহার কপিসহ নোটিশ
প্রেরণ করিতে হইবে এবং উপযুক্ত
ক্ষেত্রে এই বিষয়ে পত্রিকা বা
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার করা যাইবে।
(২) যে
সম্পত্তি সম্পর্কে আদেশ কার্যকর করা
হইবে উক্ত
সম্পত্তিতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তৃতীয় কোন
ব্যক্তি বা সত্ত্বার প্রধান নোটিশ
প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে
উক্ত সম্পত্তিতে
তাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অংশটুকু বাদ
রাখিবার জন্য আবেদন করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (২)
অনুযায়ী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বা
অন্য কোন
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ আদেশের দ্বারা উক্ত
সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে।
(৪) অপরাধের
মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে
অর্থায়ন, ইত্যাদি সংক্রান্ত বাংলাদেশের বিদ্যমান
আইনে স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট তৃতীয় পক্ষের অধিকার সম্পর্কিত
বিধানাবলী প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাপেক্ষে (mutatis mutandis) উপ-ধারা
(২) এর
অধীন নিষ্পত্তিকৃত
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।
(৫) কোন
ব্যক্তি বা সত্ত্বার প্রধান অনুরোধকারী
রাষ্ট্রে বাজেয়াপ্তি কার্যক্রমের
নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া থাকিলে তিনি
উপ-ধারা
(২) এর
অধীন কোন
আবেদন করিতে পারিবেন না।
(৬) এই
ধারার কোন কিছু ন্যায় বিচারের
স্বার্থে আদালত বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে
প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদানের ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন
করিবে না।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তির
বিলি-বন্দেজ
|
|
২৫। কোন বিদেশী
রাষ্ট্রের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অপরাধের মাধ্যমে
অর্জিত সম্পদ বা অপরাধ কার্যে
ব্যবহৃত উপকরণের সমগ্র বা অংশবিশেষ
বাজেয়াপ্তকৃত হইলে, উহা
অনুরোধকারী রাষ্ট্রের আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
সাপেক্ষে বাংলাদেশের এখতিয়ারবান
আদালতের আদেশবলে বিলি-বন্দেজ নির্ধারিত
হইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অংশ—৪
সরকারী দপ্তরের দলিল বা তথ্যাদি সরবরাহ
|
|
|
|
|
সরকারী দপ্তরের দলিল বা তথ্যাদি সরবরাহ
|
|
২৬। (১) কোন
বিদেশী রাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের কোন
সরকারী দপ্তরে রক্ষিত দলিল বা
তথ্য প্রদানের
জন্য অনুরোধ
করা হইলে,
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উহা
প্রেরণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১)
অনুযায়ী প্রাপ্ত অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট
দপ্তর দলিলপত্র বা তথ্যাদি কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষের নিকট সরবরাহ করিবে।
(৩) উপ-ধারা (১)
অনুযায়ী চাহিত দলিল বা তথ্য
যদি অপ্রকাশিত
প্রকৃতির হয় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা
যদি মনে
করে যে,
প্রচলিত আইন অনুসারে উক্ত দলিল
বা তথ্য
প্রকাশ করা অসম্ভব বা সমীচীন
নয় অথবা
উহা নির্দিষ্ট
শর্তসাপেক্ষে প্রকাশ করা
যুক্তিযুক্ত, সেইক্ষেত্রে বিলম্ব না করিয়া সরবরাহ
না করিবার
কারণ অথবা
শর্তসমূহ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে
অবহিত করিবে।
(৪) সহায়তার
জন্য অনুরোধকারী
রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের এগ্রিমেন্ট থাকিলে
এবং উহাতে
ভিন্নরুপ বিধান না থাকিলে, সংশ্লিষ্ট
দলিলের হেফাজতকারী উক্ত দলিল কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি বা
বিধান অনুযায়ী সত্যায়ন করিবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ফৌজদারী কার্যধারার সূচনা
|
|
২৭। কোন বিদেশী
রাষ্ট্র ফৌজদারী কার্যধারা সূচনা করিতে
সক্ষম হইলেও অনুরূপ কার্যব্যবস্থা বাংলাদেশে সূচনা করিবার জন্য
অনুরোধ করিলে, কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ যদি
মনে করে
যে, উহা
বাংলাদেশের আদালতের এখতিয়ারাধীন এবং অনুরোধ
অনুযায়ী ফৌজদারী কার্যধারার সূচনা করা
যথোপযুক্ত, সেইক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং গৃহীত
ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে
অবহিত করিবার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে
নির্দেশ দিতে পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অংশ-৫
কম্পিউটার সিস্টেম এবং কম্পিউটার
ড্যাটা সংক্রান্ত সহযোগিতা
|
|
|
|
|
কম্পিউটার ড্যাটা সংরক্ষণ
|
|
২৮। কোন বিদেশী
রাষ্ট্র কম্পিউটার ড্যাটা ও ট্রাফিক
ড্যাটার বিষয়ে তথ্য সরবরাহের জন্য
অনুরোধ করিলে এবং এতদ্সম্পর্কিত
বিষয়াদি বাংলাদেশে বিদ্যমান থাকিলে কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
উক্তরূপে ড্যাটা সংরক্ষণ এবং উহার
নিরাপত্তা বিধানের জন্য আদেশ জারী
করিতে পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সংরক্ষিত কম্পিউটার ড্যাটা উপস্থাপন
|
|
২৯। কোন বিদেশী
রাষ্ট্রের অনুরোধের প্রেক্ষিতে,
আদালত বা কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ
নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি উপস্থাপনের জন্য আদেশ
প্রদান করিতে পারিবে,যথা:—
(ক) কোন
ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের অধিকারে বা
নিয়ন্ত্রণে থাকা সুনির্দিষ্ট কম্পিউটার ড্যাটা
যাহা কোন
কম্পিউটার সিস্টেম এবং কম্পিউটার ডাটা
স্টোরেজ মিডিয়ামে সংরক্ষিত ছিল; এবং
(খ) কোন
সার্ভিস প্রোভাইডারের অধিকার বা নিয়ন্ত্রণে
থাকা গ্রাহক
তথ্য যেই
ক্ষেত্রে উক্ত ড্যাটা বা তথ্য
অনুরোধকারী রাষ্ট্রের ফৌজদারী কার্যক্রমের সহিত সম্পৃক্ত।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কম্পিউটার ড্যাটা তল্লাশি এবং আটক
|
|
৩০। (১) কোন
বিদেশী রাষ্ট্রের অনুরোধের প্রেক্ষিতে, আদালত বা কোন উপযুক্ত
কর্তৃপক্ষ তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত
কোন ব্যক্তিকে
কোন কম্পিউটার
সিস্টেম বা উহার কোন অংশসহ
কম্পিউটার ড্যাটা সংরক্ষণ করিতে পারে
এইরূপ কোন কম্পিউটার স্টোরেজ মিডিয়াম
তল্লাশি বা উহাতে প্রবেশ করিবার
জন্য তল্লাশি
পরোয়ানা বা অন্য কোন আদেশ
জারি করিতে
পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১)
এর উদ্দেশ্য
পূরণকল্পে, জারিকৃত তল্লাশি পরোয়ানা বা
অন্য কোন
আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তির, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত
বিষয়ে ক্ষমতা থাকিবে, যথা:—
(ক) কোন
কম্পিউটার সিস্টেম বা উহার কোন
অংশ বা
কম্পিউটার ড্যাটা স্টোরেজ মিডিয়াম আটক
করিতে বা অন্যভাবে হেফাজতে গ্রহণ;
(খ) উক্ত
কম্পিউটার ড্যাটার অনুলিপি প্রস্ত্তত করা;
(গ) সংরক্ষিত
কম্পিউটার ড্যাটাকে অবিকৃত অবস্থায় রাখা;
এবং
(ঘ) কম্পিউটার
ড্যাটাকে অগম্য (ইনএক্সেসিবল) করা বা
কোন এ্যাক্সেস
কম্পিউটার সিস্টেমে উক্ত কম্পিউটার ড্যাটা
প্রেরণ করা।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অধ্যায়-৪
বাংলাদেশ কর্তৃক সহায়তার অনুরোধ
|
|
|
|
|
বাংলাদেশ কর্তৃক সহায়তার অনুরোধ
|
|
৩১। (১) বাংলাদেশের
সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক কোন বিদেশী
রাষ্ট্র হইতে সহায়তা প্রাপ্তির জন্য
অনুরোধ কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের
নিকট করিতে
হইবে।
(২) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি বা
বিধান এবং শর্তাদি যথাযথভাবে অনুসরণ
করিয়া এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ
উক্ত অনুরোধ
যাচনা করিতে হইবে।
(৩) কেন্দ্রীয়
কর্তৃপক্ষ সহায়তার অনুরোধটি বিচার বিবেচনা
করিয়া উপযুক্ত বিবেচনা করিলে সংশ্লিষ্ট
বিদেশী রাষ্ট্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট সহায়তার জন্য অনুরোধটি
প্রেরণ করিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নিরাপত্তা হেফাজতে স্থানান্তরিত ব্যক্তি
সম্পর্কিত বিশেষ বিধান
|
|
৩২। (১) যেইক্ষেত্রে
এই আইনের
অধীন সহায়তার
উদ্দেশ্যে, অনুরোধ অনুসারে কোন বিদেশী
রাষ্ট্রে নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা কোন
ব্যক্তিকে বাংলাদেশে আনা হয় সেইক্ষেত্রে—
(ক) উক্ত
ব্যক্তিকে অনুরোধের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে, বাংলাদেশে
প্রবেশ করিবার ও অবস্থান করিবার
অনুমতি প্রদান করিতে হইবে;
(খ) উক্ত
ব্যক্তিকে যেই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ আনা
হইয়াছে সেই উদ্দেশ্যে আর প্রয়োজন
না হইলে,
বাংলাদেশ ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা
হইবে;
(গ) উক্ত
ব্যক্তিকে অনুরোধের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনের
অতিরিক্ত সময় বাংলাদেশে নিরাপত্তা হেফাজতে
রাখা হইলে
উহা বৈধ
বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) বিদেশী
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা ব্যক্তিকে
বাংলাদেশে আনয়নের ক্ষেত্রে, যদি উক্ত
ব্যক্তির বাংলাদেশে অবস্থানের প্রয়োজন না
হয়, তাহা
হইলে উক্ত
ব্যক্তিকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা ও
উক্ত রাষ্ট্রে
ফেরত পাঠাইবার
ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
গ্রহণ করিবে।
(৩) যদি
কোন ব্যক্তি
এই ধারার
অধীন অনুরোধ
অনুসারে বাংলাদেশের নিরাপত্তা
হেফাজত হইতে পলায়ন করে, তাহা
হইলে তাহাকে
এই ধারা
অনুসারে নিরাপত্তা হেফাজতে আনিবার উদ্দেশ্যে
বিনা পরোয়ানায়
গ্রেপ্তার করা যাইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সহায়তার অনুরোধ অনুসারে বাংলাদেশে
অবস্থানকারী ব্যক্তির প্রতি নিরাপদ আচরণ
|
|
৩৩। (১) এই
আইনের অধীন সহায়তা লাভের অনুরোধ
অনুসারে কোন ব্যক্তির উপস্থিতি যাচনা
করা হইলে,
এবং তাহার
প্রতি নিরাপদ আচরণ করিবার জন্য
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা প্রদান করিলে,
উক্ত ব্যক্তিকে—
(ক) আটক,
তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বা
শাস্তি প্রদান করা হইবে না,
অথবা তাহার
ব্যক্তিস্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করা
হইবে না,
অথবা উক্ত
ব্যক্তির বিদেশী রাষ্ট্র ত্যাগের পূর্বে
সংঘটিত কোন কার্য বা বিচ্যুতির
জন্য তাহার
বিরুদ্ধে অনুরোধের প্রেক্ষিতে কোন দেওয়ানী
কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে না;
(খ) তাহার
বা বিদেশী
রাষ্ট্রের সম্মতি গ্রহণ না করিয়া,
সংশ্লিষ্ট তদন্ত বা কার্যক্রম ব্যতিরেকে
অন্য কোন
তদন্ত বা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য
বাধ্য করা যাইবে না।
(২) উপ-ধারা (১)
অনুসারে নিরাপদ আচরণের বিধান প্রযোজ্য
হইবে না,
যখন উক্ত
ব্যক্তির বাংলাদেশ ত্যাগের সুযোগ থাকা
সত্ত্বেও যে তারিখে তাহাকে অনুরোধের
প্রেক্ষিতে দেশ ত্যাগ করিবার বিষয়টি
অবহিত করিবার তারিখ হইতে ১৫
(পনের) দিবসের মধ্যে দেশ ত্যাগ
না করেন
অথবা যখন
উক্ত ব্যক্তি
দেশ ত্যাগের
পর বাংলাদেশে
ফেরত আসেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সহায়তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত
সাক্ষ্য ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা
|
|
৩৪। এই আইনের
অধীন কোন
সহায়তার জন্য বাংলাদেশে কোন সাক্ষ্য-উপকরণ সরবরাহ
করা হইলে,
উহা নিম্নবর্ণিত
উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে
ব্যবহার করা যাইবে না, যথা:—
(ক) ফৌজদারী
তদন্ত এবং কার্যক্রম;
(খ) জননিরাপত্তার
জন্য আসন্ন
গুরুতর হুমকি প্রতিরোধ;
(গ) উপ-অনুচ্ছেদ (ক)
এ উল্লিখিত
তদন্ত বা কার্যক্রমের সহিত প্রত্যক্ষভাবে
সম্পর্কিত কোন দেওয়ানী বিচারিক বা
প্রশাসনিক কার্যক্রম;
(ঘ) অন্য
যে কোন
উদ্দেশ্যে, যদি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের কাঠামোর আওতায় অথবা উপ-দফা (ক),
(খ) এবং
(গ) এ
উল্লিখিত অবস্থায় কোন তথ্য বা
সাক্ষ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা; এবং
(ঙ) তথ্য
প্রদানকারী বিদেশী রাষ্ট্রের পূর্ব অনুমতিসহ
অন্য কোন
উদ্দেশ্যে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অধ্যায়—৫
বিবিধ
|
|
|
|
|
ব্যয়
|
|
৩৫। অনুরোধকারী রাষ্ট্রের
সহিত বাংলাদেশের
এগ্রিমেন্ট থাকিলে এবং উহাতে ভিন্নরূপ
ব্যবস্থার উল্লেখ না থাকিলে অথবা
অন্য কোনভাবে
সম্মত না হইলে, নিম্নরূপ ক্ষেত্র
ব্যতিত বাংলাদেশে কোন সহায়তার অনুরোধ
কার্যকর করিতে বিদেশী রাষ্ট্রের উপর
কোন চার্জ
ধার্য না করিয়া পরিচালিত হইবে,
যথা:—
(ক) বাংলাদেশের
স্থানীয় সীমানার মধ্যে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির
উপস্থিতি সম্পর্কিত ব্যয়; অথবা
(খ) বাংলাদেশ
হইতে কোন
ব্যক্তিকে কোন অনুরোধকারী রাষ্ট্রের হেফাজতে
হস্তান্তর এবং অনুরোধকারী রাষ্ট্র হইতে
উক্ত ব্যক্তিকে
ফেরত আনয়ন
সংক্রান্তে ব্যয়িত অর্থ; অথবা
(গ) বাংলাদেশে
ভিডিও বা টেলিফোন সংযোগ স্থাপন
সংক্রান্ত ব্যয়, অনুবাদককে প্রদত্ত পারিশ্রমিক
এবং সাক্ষীকে
প্রদত্ত ভাতা; অথবা
(ঘ) প্রকৃত
বা অবশ্যম্ভাবী
কোন ব্যয়।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্যতা
|
|
৩৬। এই আইনের
অধীন গৃহীত
সকল সাক্ষ্য,
দলিলাদি ও তথ্য আইনানুযায়ী আদালতে
সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অনুরোধের ভাষা
|
|
৩৭। (১) বিদেশী
রাষ্ট্র হইতে সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে
সকল সহায়তার
অনুরোধ ইংরেজীতে করিতে হইবে এবং
সংযুক্ত দলিলাদি এবং অন্য কাগজপত্র
যদি ইংরেজীতে
না হইয়া
থাকে, তবে উহার ইংরেজীতে অনুবাদকৃত
কপি প্রদান
করিতে হইবে।
(২) বিদেশী
রাষ্ট্র কর্তৃক প্রেরিত অনুরোধ ইংরেজী
অথবা বাংলায়
করা যাইবে
এবং সংযুক্ত
দলিলাদি ও অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজনীয়
ক্ষেত্রে বাংলায় অনুবাদ করিয়া দিতে
হইবে।
(৩) বাংলাদেশে
সংগৃহীত কোন সাক্ষ্য বাংলায় গৃহীত
হইলে এবং
দলিলাদি বা অন্য কোন কাগজপত্র
বাংলায় সংগৃহীত হইলে, অনুরোধকারী রাষ্ট্রের
অনুরোধের প্রেক্ষিতে উহার ইংরেজী অনুবাদ
প্রত্যয়ন করিয়া প্রদান করা যাইতে
পারে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
|
|
৩৮। সরকার, সরকারি
গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের
উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে
পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা
|
|
৩৯। এই আইনের
কোন বিধানের
অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর কবিরার
ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে,
সরকার এই আইনের অন্যান্য বিধানের
সহিত সামঞ্জস্য
রাখিয়া, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,
উক্ত বিধানের
স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক উক্ত বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে
দিক-নির্দেশনা
প্রদান করিতে পারিবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
|
|
৪০। এই আইন
প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে
প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে
অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ
করিবেঃ
তবে শর্ত
থাকে যে,
বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে
বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য
পাইবে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
রহিতকরণ
|
|
৪১। অপরাধ সম্পর্কিত
বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা অধ্যাদেশ, ২০১২
(২০১২ সনের ১ নং অধ্যাদেশ)
এতদ্দ্বারা
রহিত করা
হইল।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs
Division
Ministry of Law, Justice
and Parliamentary Affairs
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন